চোখ বুজলে ছুঁতে কি পাও আমায়
শুনতে কি পাও স্বপ্নে আমার কথা
আপন মনে কথা বলে চলো
ভেঙ্গে তোমার পারিপার্শ্বিক নিরবতা ?
কখনও কি আমার স্থির ছবি
অস্থির করে তোলে তোমার হৃদয় ?
সিনেমা হলে মুভি দেখার সময় -
কিম্বা ছাউনি তোলা রিক্সায়
তোমার পাশে কখনও কি খুঁজেছ আমায় ?
যদি না হয় - জেনে রেখো মেয়ে
তোমার সাথে আমার সম্পর্ক -
আর যাই হোক প্রেম নয় ||
Aamar Blog
Friday, May 8, 2015
প্রেম নয়
Wednesday, May 6, 2015
চিকিত্সা বিজ্ঞানের উন্নতি হল - আইন কিন্তু সেই তিমিরেই
(আজ সকালে পাড়ায় পাঁচুদার চা'এর দোকানে)
-- হিংসে হিংসে - বুঝলি নির্ভেজাল হিংসে ! আমারও তোর মতন দুটো হাত - দুটো পা - তুই শালা কোটি কোটি টাকা কামাবি, সব মেয়েদের চোখের মণি হয়ে থাকবি, আবার চ্যারিটি করে বিদ্বজনের কাছে ভালোমানুষ সাজবি ! অত খায়না ! এবার পেয়েছি তোকে - যাবি কোথায় !
-- কিন্তু তাই বলে মানুষ মেরে রেপ করে বেড়াবে আর তারপর এট্টু চ্যারিটি করে বেড়ালেই আপনি তাকে ছেড়ে দিতে বলছেন ? এরকম তো অমরেশ পুরী ভিলেন হয়ে অনেক সিনেমায় করেছিল
-- না - একবারও তা বলছি না । (এবার একটু গম্ভীর হয়ে)
-- তাহলে হিংসের কথা আসছে কেন ?
-- আচ্ছা একটা জিনিস বল - তোর শরীরে একই সিম্পটমে আলাদা আলাদা অসুখ হতে পারে কি ?
-- হ্যা তা পারে - কিন্তু তার সাথে এখানে কি সম্পর্ক ?
-- সম্পর্ক আছে - কথায় আছে "অপরাধীকে নয় অপরাধকে ঘৃণা কর" - সেক্ষেত্রে এই সল্লু মিঞার কথাতেই আসি -
সল্লু মিঞার সিনেমা আমি দেখিনা - অখাদ্য লাগে - সেই সল্লু মিঞা জেল খাটল কি যমের বাড়ি গেল - তাতে আমার ছেঁড়া যায় ! এহেন সল্লু মিঞা যদি জেল খাটে তাহলে কি হতে পারে ? - ও যা দান ধ্যান করে - সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, ওঁর সিনেমা মানুষকে (এক শ্রেণীর) উদ্বুদ্ধ করে - সেটা বন্ধ হবে ! কারণ যারা ওঁর ফ্যান তাঁরা একই থিমে অন্য কাউকে নিয়ে বানানো একইরকম জঘন্য সিনেমায় সেই আনন্দ বা আত্মতৃপ্তি পাবেন না । আলটিমেটলি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি (কাগজে পড়লাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে) - তার ফলে সেই সেই সিনেমাগুলোর সাথে যুক্ত সমস্ত মানুষ গুলোর ক্ষতি !
-- আপনি কি বলতে চাইছেন টাটা - বিড়লা সব বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের সাত খুন মাফ - যেহেতু তারা অন্যের অন্ন সংস্থান করছেন ?
-- তুমি না বড্ড বেশি কথা বল - কথার মাঝে কথা বল !
-- আচ্ছা আচ্ছা বলুন
-- দাঁড়া - একটু গুছিয়ে শুরু করি তাহলে ।
এই যে জেল বা শাস্তি - এটা তো মানুষেরই সৃষ্টি ! এটা কেন দেওয়া হয় ?
সামাজিক অপরাধের জন্য শাস্তি বিধান ব্যাপারটা চালু হয় সম্ভবত ব্যাবিলনে ১৭৫০ খৃষ্টপূর্ব থেকে (কোড অব হামুরাবি) ! ভারতে মনুর অর্থশাস্ত্রে, ইজিপ্টে, সুমেরু সভ্যতা প্রভৃতি অনেক জায়গাতেই আমরা বিভিন্ন শাস্তি বিধানের কথা শুনেছি ।
জেলের কথায় বলতে গেলে - রোমানরা সর্বপ্রথম জেলে পুরে শাস্তি বিধানের প্রথা চালু করে । ৬৪০ খৃষ্টপূর্বে Ancus Marcius তৈরী করেন Mamertine Prison নামের জেলখানা । যুদ্ধবন্দীদের জেলে রাখা হত এবং সেখানে অত্যাচার করা হত তাঁদের উপর ... প্রাচীন এথেন্সে জেলকে বলা হত desmoterion ("place of chains") ।
-- (স্বগোতক্তি) এ সঅঅব উইকিতে আছে
-- পরবর্তী কালে সামাজিক অপরাধের জন্যেও মানুষদের জেলে রাখা হতে লাগল । কাউকে জেলে রাখা মানে তাঁর সামাজিক জীবনের অধিকার কেড়ে নেওয়া - এক কথায় শাস্তি দেওয়া তাঁর কৃত অপরাধের জন্য - যাতে কিনা তাঁর ও সমাজের অন্য মানুষের মধ্যে এই ভয়টা ঢোকানো যায় - যে - এরকম শাস্তি পাবে যদি তুমি সমাজের নিয়ম না মেনে চল বা অন্য কোনো সামাজিক অপরাধ কর - সেটা কর ফাঁকি দেওয়া হোক বা পাড়ার মারামারি !
তার আগে বলি - তুই কাউকে শাস্তি কেনো দিবি ?
১) যার বিরুদ্ধে অপরাধ তাকে সুবিচার দেওয়া - অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললে - তাঁর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা
২) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি - যা কিনা অন্যকে সেই একই অপরাধ করতে বাধা দেবে এবং সমাজে শৃঙ্খলা থাকবে
গ্রীক দার্শনিক প্লেটো প্রথম অপরাধীদের আত্মোন্নতির কথা বলেন ।
একই অপরাধ মানুষ ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে করে - অনেক ভালো মানুষ'ও খারাপ কাজ করে ফেলে ক্ষণিকের ভুলে । কিন্তু এই ইচ্ছাকৃত কিম্বা অনিচ্ছাকৃত ভুলের প্রভেদ'টা আমরা বুঝব কেমন করে ! সেখানেই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ । আর ভুল তো আমরা সবাই করে থাকি । কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে সেই ভুল করার অনুভূতিটা আমাদের কজনের মধ্যে থাকে ? প্রকৃত শাস্তি হল সেই ভুলের অনুভূতিটাকে জাগ্রত করা - এবং সেই পাপস্খলনের ব্যবস্থা করা । শুধু সমাজকে ভয়ের ককুর লেলিয়ে এই সমস্যার সমাধান করাটা ঠিক হবেনা ।
-- তাহলে আপনি কি বলছেন কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে সাইকিয়াট্রিস্ট কনসাল্ট করাতে হবে ?
-- খানিকটা হ্যা - আর খানিকটা না । সলমান খান'কে জেলে ভরার চেয়েও যেটা দরকার ওর ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করে ওকে সমাজের কাজে লাগানো । জেলে পুরে ওর থেকে সমাজ কিছু পাবেনা - শুধু লোকে রাত্রে মাল খেয়ে ড্রাইভ করতে চাইলে বন্ধুরা বলবে সলমান খানও নিস্তার পায়নি - এক্সিডেন্ট করলে তুইও বড় কেস খাবি। কিন্তু যে মদ্যপ? তার কিন্তু কোনো হোলদোল হবে না । তাই সলমনের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় - ওঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক - ওঁর ভবিষ্যত জীবনের গতিবিধির ওপরেও আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা হোক - ওঁর থেকে সমাজের যা কিছু পাওয়ার সেগুলো থেকে সমাজকে বঞ্চিত করলে আখেরে সমাজেরই ক্ষতি। সেই ক্ষতিটা ওকে জেলে পুরে পোষানো যাবেনা । আজ আমার পরিবারের কাউকে যদি কেউ এরকম অন্যায় করে অনিচ্ছ্বাকৃত ভাবে মেরে দেয় - এবং তার মধ্যে যদি প্রকৃত অপরাধবোধ জন্মায় তবে আমিও তাকে ক্ষমা করে দেবো - কারন ক্ষমা পরম ধর্ম । তাই প্রযুক্তিগত ভাবে (লাই ডিটেক্টর কিম্বা অন্য কিছু) যেদিন আমরা প্রকৃত দোষী খুঁজতে পারব যা প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে এবং অপরাধীর মানসিকতার প্রকৃত সন্ধান দেবে সেদিন থেকেই অপরাধ কমবে আমাদের সমাজে।
সেরকম ভাবেই যদি কারোর মধ্যে অপরাধ প্রবণতার আধিক্য দেখা যায় (প্রযুক্তিগত ভাবে) তাহলে তার চিকিৎসা করা হোক অপরাধ করবার আগে - এবং চরম পরিস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে (কোয়ারেন্টাইন) করা হোক - অনেকটা ভাইরাস রিমুভ করবার মতন !
{বিঃদ্রঃ~ এই লেখায় কিছু আশার কথা বলা হয়েছে - প্রকৃত সমাধান কিছু দেওয়া হয়নি - কিন্তু আমরা কি চাই সেটা না জানলে সমাধানের পথ দিশাহীন হয়ে পড়ে - সেই দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছি মাত্র}
Friday, February 13, 2015
Valentine Day
ভ্যালেন্টাইন ডে'র উপহার ?
পেয়েছি বলে পড়েনা মনে -
দেবারও কখনও হয়নি দরকার !
আজ যখন বলছে এ মন
দিতে হবে কিছু তোমায় -
"আমার যে সব(ই) দিতে হবে"
আজ একদিনে কি আর আসে যায় !
http://youtu.be/aObfsLsdNfE
Tuesday, February 3, 2015
ইউরেকা - রম্য রচনা
তৈ : আজকালকার ছেলেরা তো - ডেঁপোমির একশেষ
চা : হ্যাঁ যা বলেচ ভায়া - সেদিন দেখি অমর্ত্য ক্লাসে এয়েছে চে গুয়ে ভরার টি-শার্ট পড়ে - জিজ্ঞেস করলাম বাইসাইকেল ডায়েরি পড়েছ ? বলে কিনা সেটা কি ? আরে মোলো যা
তৈ : হুমম - দুদিন আগে ভারতচন্দ্রের মঙ্গলকাব্য পড়ছিলাম - আরে মঙ্গলকাব্য লিখেছিস সেখানে মঙ্গলরা ছাড়া আর সবই আছে - একটু বেসিক না জেনে কেন যে এসব করতে যাস
এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে এক জোড়া জামা প্যান্ট হাতে আর্য্যভট্টের প্রবেশ - উনিও টোল চালান - তবে অন্য সাবজেক্টের - তাই চানক্যের সাথে আলাপ আছে
আর্য্য : তোমরা আর্কিমিদিস ছোঁড়াটাকে দেখেছ ? এখানে এসেছে নাকি ?
তৈ : কেন কি হয়েছে ?
আর্য্য : কি আবার হবে - হাতের কাছে পেলে পিটিয়ে ছাল ছাড়াতাম - আমার স্টুডেন্ট হয়ে এ কি বেলেল্লাপনা ?
চা : যেমন পন্ডিত তেমনই ছাত্র
আর্য্য : (চানক্যের শ্লেষ গায়ে না মেখে) গেঁয়ো ভূতটা বাথটাবে শুয়ে হঠাত দেখে টুপ করে জল পড়ে গেছে বাইরে অমনি কি একটা আবিষ্কার করে ফেলেছে মনে করে সারা শহর ন্যাংটো হয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে ।
চা : এহ - শুধু আঁক কষিয়ে কষিয়ে বেচারার জীবনবিজ্ঞানটার বারোটা বাজিয়েছ দেখছি
তৈ : মানে - কি - ও আমার বাথটাবে ? এহ ম্যাগো - ব্লিচিং দিয়ে ধুতে হবে
আর্য্য : যাই মালটাকে পেলে এই জামা কাপড় পড়িয়ে গ্রীসের ফিরতি ফ্লাইটে তুলে দেব - এসব নোংরামি আমি সইবনা - নেহাত প্লেটো রেকমেন্ড করেছিল - তাই ঢুকিয়েছিলাম । নইলে ..
Monday, February 2, 2015
~: ইচ্ছে তো হয় :~
ইচ্ছে তো হয় -
তোমার কাছে উজাড় করি -
সব স্বপ্ন সঞ্চয় !
ইচ্ছে তো হয় -
ওই আকাশে আবার উড়ি
এবার আর একা নয় !
ইচ্ছে তো হয় -
অচিন দেশে দেবো পাড়ি
শুধু তোমার ভরসায় !
ইচ্ছে তো হয় - ইচ্ছে তো হয় -
মনের গোপন ইচ্ছে গুলো
মনেই জেগে রয় !!
Monday, December 15, 2014
~: নিদ্রা :~
অতঃপর বৈশম্পায়ন জনমেজয়কে কহিলেন - হে রাজন এ জগতে নিদ্রাই হচ্ছে সেই একমাত্র নিষ্কাম সাধনা যা মানুষকে তার নিবৃত্তি মার্গের শেষ বিন্দুতে পৌঁছে দিতে পারে। জগতের প্রথম পুরুষ শ্রী বিষ্ণুকেই দেখ - যোগনিদ্রায় শায়িত - নিদ্রা আসলে ধ্যান বা যোগেরই প্রকার বিশেষ।
মানুষ নিদ্রার দ্বারা জয় করে নিজেকে - নিজের বিচিত্র বাসনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে - এবং তাই ইহা নিষ্কাম সাধনা !
এই যে এত সাধু, যোগী, সিদ্ধ পুরুষদের হিমালয় বা পাহাড়ে সাধনা করতে যেতে দেখেন - আসলে তাঁদের ঘুম ভীষণ পাতলা হয় - সামান্য আওয়াজেই তাঁদের ঘুম ভেঙ্গে যায় - তাই শান্তিতে নিশ্চিন্তে ঘুমাবার জন্যে তাঁরা নির্জন পাহাড় বেছে নেন।
কাউকে কাঁচা ঘুম থেকে ওঠানো ঘোর পাপ - তার ফলে নিদ্রিতের যেমন ক্ষতি হয় - ঠিক তেমনই সেই পাপী যে তাঁর সাধের ঘুম নষ্ট করে তারও সর্বনাশ হয়। আপনি দেখুন রাবণ এবং কুম্ভকর্ণকেই - বেচারা কুম্ভকর্ণকে যদি ঘুমন্ত অবস্থায় অন্যত্র কোথাও রেখে আসত - তাহলে কিছু দিনের জন্যে লঙ্কা ছাড়া হলেও - সোনার লঙ্কা আবার পুনরুদ্ধার করতে পারতেন রাবণ। কিন্তু তা নয় - কুম্ভকর্ণ তো মরলই সাথে রাবনের নিজেরও সর্বনাশ হল।
অনেক অর্বাচীন বলবেন - যে ঘুমিয়ে থাকে তার ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকে - তাঁদের কথা গায়ে মাখবেন না - শুধু জিজ্ঞেস করবেন তারা জেগে জেগে কটা সাম্রাজ্য বানিয়েছেন ?
হে রাজন - এই মায়ার পৃথিবীতে ঘুমই সেই আদর্শ ক্রিয়া - যা আমাদের ষড় রিপুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে - কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য - এসবের কোনো কিছুই ঘুমন্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করতে পারেনা।
ঈশ্বর সবাইকে নিশ্চিন্ত ঘুম আশীর্বাদ করুন !
ওম পিস্।
Wednesday, December 10, 2014
Recognition ??
~"Never on Sunday" (1960)
Same thing I saw in a Bengali movie "Kancher Swargo" (Heaven made of Glass) where a doctor (Sanjoy) did a very complex operation though he didn't have the certificates to prove his merits to the world ..
But how can I blame him for studying pure engineering & earning on medical work? I myself did my engineering in ECE & now working in Computer with Commerce knowledge - & that's exactly where my point is.
So here I got 3 levels (as I see from my bachelorhood :) ) - 1st get a certificate to start your living - which will be eventually the 2nd level. Rather I would say - they are the 2nd & 3rd level. The 1st level will hide inside you from your childhood. Your parents wouldn't know that, your friends can never guess that - even to be honest for maximum people they don't know by themselves too. For running behind 2nd & 3rd Level of living they forget their 1st choice .. But given a single chance to them to perform on their 1st choice - their face brightens up, they feel eternal joy & they perform in super perfection.
Well "Perfect" - again a human defined term - which seek comparison of "what can be perfect" rather "what we call perfect". Now tell me who are "We" ? again the normal human being only. Even though a work is not matching with so called "Perfection" if we enjoy doing it - we should first encourage ourselves and then just jump on it :-)